ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন Logo ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য চায় সরকার Logo নির্বাচন আয়োজনে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo চ্যালেঞ্জ হলেও গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একদিনে হওয়া উচিত: অর্থ উপদেষ্টা Logo সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ Logo ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা Logo আগামী জুলাই থেকে সব প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর Logo বিভক্তির কারণে সাংবাদিকেরা রাজনীতিকদের পকেটে ঢুকে যান: মির্জা ফখরুল Logo আকাশের যত তারা, সাংবাদিক নিবর্তনে আইনের তত ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল Logo ৪১ দেশে ৪১ শতাংশ আইসিইউ রোগীর শরীরে কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক: আইইডিসিআর

সালমান, শায়ান ও শিবলী আজীবনের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / 134

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে দেশের পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিএসইসি।

বুধবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৪ জুন ৮৭১তম কমিশন সভায় ‘আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’- শীর্ষক ১৫০০ কোটি টাকার মূল্যের এবং ১০০০ কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ড অনুমোদিত হয়েছিল। ওই বছরের ১২ জুলাই বন্ডের সম্মতি পত্র ইস্যু করা হয়।

বন্ডটির ইস্যুয়ার ছিল শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড; যা ২০২৩ সালের ২ মার্চ প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই ১১ এপ্রিল বন্ড ইস্যুর আবেদন করেছিল। ওই কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩৩৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ২৪৮ কোটি টাকার নগদ অর্থ ভূমি ক্রয়/উন্নয়ন সংক্রান্ত কারণে উত্তোলন করা হয়েছিল; যেটি কমিশনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

বন্ডটির জামিনদার ছিল আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার ছিল আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ট্রাস্টি ছিল সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড, রেটিং প্রদান করে এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল) এবং নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিল এম.জে. আবেদীন অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি নিজে বন্ডটি ইস্যু না করলেও ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়, যাতে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হন এবং ভেবে নেন এটি আইএফআইসি ব্যাংকের ইস্যু করা বন্ড।

এ বিষয়ে ‘পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ তদন্ত পরিচালনা করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয়। এর ভিত্তিতে বিএসইসি নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়:

ক) আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা এবং পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

খ) তৎকালীন ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

গ) আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের তৎকালীন সিইও মো. ইমরান আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়।

ঘ) আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’র তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সালমান, শায়ান ও শিবলী আজীবনের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত

আপডেট সময় : ১১:১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে দেশের পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিএসইসি।

বুধবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৪ জুন ৮৭১তম কমিশন সভায় ‘আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’- শীর্ষক ১৫০০ কোটি টাকার মূল্যের এবং ১০০০ কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ড অনুমোদিত হয়েছিল। ওই বছরের ১২ জুলাই বন্ডের সম্মতি পত্র ইস্যু করা হয়।

বন্ডটির ইস্যুয়ার ছিল শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড; যা ২০২৩ সালের ২ মার্চ প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই ১১ এপ্রিল বন্ড ইস্যুর আবেদন করেছিল। ওই কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩৩৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ২৪৮ কোটি টাকার নগদ অর্থ ভূমি ক্রয়/উন্নয়ন সংক্রান্ত কারণে উত্তোলন করা হয়েছিল; যেটি কমিশনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

বন্ডটির জামিনদার ছিল আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার ছিল আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ট্রাস্টি ছিল সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড, রেটিং প্রদান করে এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল) এবং নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিল এম.জে. আবেদীন অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি নিজে বন্ডটি ইস্যু না করলেও ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়, যাতে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হন এবং ভেবে নেন এটি আইএফআইসি ব্যাংকের ইস্যু করা বন্ড।

এ বিষয়ে ‘পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ তদন্ত পরিচালনা করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয়। এর ভিত্তিতে বিএসইসি নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়:

ক) আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা এবং পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

খ) তৎকালীন ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

গ) আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের তৎকালীন সিইও মো. ইমরান আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়।

ঘ) আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’র তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।