ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন Logo ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য চায় সরকার Logo নির্বাচন আয়োজনে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo চ্যালেঞ্জ হলেও গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একদিনে হওয়া উচিত: অর্থ উপদেষ্টা Logo সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ Logo ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা Logo আগামী জুলাই থেকে সব প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর Logo বিভক্তির কারণে সাংবাদিকেরা রাজনীতিকদের পকেটে ঢুকে যান: মির্জা ফখরুল Logo আকাশের যত তারা, সাংবাদিক নিবর্তনে আইনের তত ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল Logo ৪১ দেশে ৪১ শতাংশ আইসিইউ রোগীর শরীরে কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক: আইইডিসিআর

পলিথিন ও শব্দ দূষণ রোধে সারাদেশে জোরালো অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / 83

পরিবেশ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সারাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন ও শব্দ দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের কারণে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বান্দরবান এবং ঢাকার পলাশী মোড়, চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের দায়ে ১২টি মামলা করা হয়। এতে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ৪ হাজার ৫৬০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি দোকান মালিক, সুপারশপ ও সাধারণ জনগণকে পলিথিন ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হয়।

একই দিনে নীলফামারীতে শব্দ দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। এক মোবাইল কোর্ট ২টি মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং ২টি হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করে। কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর মোট ১,২৯৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এ সময়ে ৩,১৭০টি মামলায় ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৪৮৪টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, ২১৬টি ভাটার বিরুদ্ধে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ১৩৩টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

এছাড়া ১৬টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা, ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণবিরোধী অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পলিথিন ও শব্দ দূষণ রোধে সারাদেশে জোরালো অভিযান

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

পরিবেশ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সারাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন ও শব্দ দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের কারণে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বান্দরবান এবং ঢাকার পলাশী মোড়, চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের দায়ে ১২টি মামলা করা হয়। এতে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ৪ হাজার ৫৬০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি দোকান মালিক, সুপারশপ ও সাধারণ জনগণকে পলিথিন ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হয়।

একই দিনে নীলফামারীতে শব্দ দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। এক মোবাইল কোর্ট ২টি মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং ২টি হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করে। কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর মোট ১,২৯৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এ সময়ে ৩,১৭০টি মামলায় ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৪৮৪টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, ২১৬টি ভাটার বিরুদ্ধে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ১৩৩টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

এছাড়া ১৬টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা, ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণবিরোধী অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।