ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন Logo ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য চায় সরকার Logo নির্বাচন আয়োজনে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo চ্যালেঞ্জ হলেও গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একদিনে হওয়া উচিত: অর্থ উপদেষ্টা Logo সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ Logo ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা Logo আগামী জুলাই থেকে সব প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর Logo বিভক্তির কারণে সাংবাদিকেরা রাজনীতিকদের পকেটে ঢুকে যান: মির্জা ফখরুল Logo আকাশের যত তারা, সাংবাদিক নিবর্তনে আইনের তত ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল Logo ৪১ দেশে ৪১ শতাংশ আইসিইউ রোগীর শরীরে কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক: আইইডিসিআর

দুই ঘরে ঝুলছিল এক পরিবারের ৪ জনের মরদেহ

প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:১৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / 131

রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়িটির আলাদা দুই ঘরে ঝুলছিল মরদেহগুলো। এর মধ্যে এক ঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ে, আর অন্য ঘরে ঝুলছিল বাবা-ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায় ঘটেছে হৃদয় বিদারক এ ঘটনা। মতিহার থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) কালাম পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩), মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেত।

আবদুল মালেক নামে স্থানীয় একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম কৃষি কাজ করেন। ঋণ জর্জরিত ছিলেন তিনি। তারা মাটির ঘরে বসবাস করেন। পরিবারে চারজন সদস্যই মারা গেছে। এরমধ্যে উত্তরের ঘরে মা ও মেয়ে, আর দক্ষিণের ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল।

উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের বোঝা নিয়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সেটা নিহত মিনারুলের লেখা। তবে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুই ঘরে ঝুলছিল এক পরিবারের ৪ জনের মরদেহ

আপডেট সময় : ০৫:১৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়িটির আলাদা দুই ঘরে ঝুলছিল মরদেহগুলো। এর মধ্যে এক ঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ে, আর অন্য ঘরে ঝুলছিল বাবা-ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায় ঘটেছে হৃদয় বিদারক এ ঘটনা। মতিহার থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) কালাম পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩), মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেত।

আবদুল মালেক নামে স্থানীয় একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম কৃষি কাজ করেন। ঋণ জর্জরিত ছিলেন তিনি। তারা মাটির ঘরে বসবাস করেন। পরিবারে চারজন সদস্যই মারা গেছে। এরমধ্যে উত্তরের ঘরে মা ও মেয়ে, আর দক্ষিণের ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল।

উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের বোঝা নিয়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম, সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সেটা নিহত মিনারুলের লেখা। তবে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।