ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা রেখে নির্বাচনী আইন, ভোট বয়কটের ডাক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / 47

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইয়াঙ্গুনে প্রদর্শন করা হয় ভোটিং মেশিন। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে জান্তা সরকার। পাশাপাশি দেশটিতে একটি নতুন আইন পাশ হয়েছে। যেটির আওতায়, নির্বাচন আয়োজনে কেউ বাধা দিলে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হবে। আর নিহতের ঘটনা ঘটলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম দ্য ইরাবতী আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। নতুন এই নির্বাচনী আইন প্রণয়ন করা হয় গত মঙ্গলবার। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচনকর্মীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা হতে পারে এ আইন। অপরদিকে এটি ভিন্নমত দমনেরও কৌশল।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটালে ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। ব্যালট বাক্স, ভোটকেন্দ্র বা ভোটিং মেশিন নষ্ট করলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড (দলবদ্ধভাবে করা হলে যাবজ্জীবন), ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনকর্মী বা কর্মকর্তাকে গুরুতরভাবে আহত করলে ১০ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হবে। এ ছাড়া, নিহতের ঘটনা ঘটলে শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। যদিও নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে জান্তা বিরোধী গোষ্ঠীগুলো।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে হঠিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক বাহিনী। যা দেশটিতে বহুমুখী গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়। এসব সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সু চির সরকারে থাকা এক সংসদ সদস্যসহ বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এএফপিকে নির্বাচন বয়কটের কথা জানিয়েছেন। এর আগে গত মাসে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, এটি হতে যাচ্ছে একটি প্রতারণামূলক উদ্যোগ। যা মূলত সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা রেখে নির্বাচনী আইন, ভোট বয়কটের ডাক

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে জান্তা সরকার। পাশাপাশি দেশটিতে একটি নতুন আইন পাশ হয়েছে। যেটির আওতায়, নির্বাচন আয়োজনে কেউ বাধা দিলে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হবে। আর নিহতের ঘটনা ঘটলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম দ্য ইরাবতী আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। নতুন এই নির্বাচনী আইন প্রণয়ন করা হয় গত মঙ্গলবার। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচনকর্মীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা হতে পারে এ আইন। অপরদিকে এটি ভিন্নমত দমনেরও কৌশল।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটালে ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। ব্যালট বাক্স, ভোটকেন্দ্র বা ভোটিং মেশিন নষ্ট করলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড (দলবদ্ধভাবে করা হলে যাবজ্জীবন), ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনকর্মী বা কর্মকর্তাকে গুরুতরভাবে আহত করলে ১০ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হবে। এ ছাড়া, নিহতের ঘটনা ঘটলে শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। যদিও নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে জান্তা বিরোধী গোষ্ঠীগুলো।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে হঠিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক বাহিনী। যা দেশটিতে বহুমুখী গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়। এসব সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সু চির সরকারে থাকা এক সংসদ সদস্যসহ বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এএফপিকে নির্বাচন বয়কটের কথা জানিয়েছেন। এর আগে গত মাসে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, এটি হতে যাচ্ছে একটি প্রতারণামূলক উদ্যোগ। যা মূলত সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই করা হবে।