ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে আগস্টে
- আপডেট সময় : ১১:৪০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / 77
চলতি বছরের সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে জুলাইয়ে। গত ছয় মাসের চেয়ে জুলাইয়ে এ ভাইরাস নিয়ে হাসপাতালে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ জন। চলতি মাসের ৩০ দিনে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪০৬ জন। এর মধ্যে বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৩৮৬ জন। এই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, মারা যাওয়া দুইজনই পুরুষ। তার ঢাকার দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নিয়ে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তন্মধ্যে ৪৬ জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ১০৬ জন, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৭৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৪ জন, ঢাকা বিভাগে ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন ও রংপুর বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর ডেঙ্গুতে সর্ব্বোচ্চ ৩৯জনের মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে। এ ছাড়া জুনে ১৯, জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন জন মারা যান।
বিভাগওয়ারি তথ্যে দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে সর্ব্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে, তাঁদের ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি মারা গেছে বরিশাল বিভাগে। দক্ষিণাঞ্চলের এই বিভাগে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জুলাই মাসে সর্ব্বোচ্চ ১০ হাজার ৪০৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া জুনে ৫৯৫১, জানুয়ারিতে ১১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১ এবং মে মাসে ১৭৭৭ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ শুরু হলেও এতদিনেও এটি নিয়ন্ত্রণে না আসার প্রধান কারণ হলো– দীর্ঘমেয়াদি ও বাস্তবভিত্তিক কৌশলের অভাব। মশা নিধন ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়ন ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যেতে পারে। ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত থাকলে আগস্টে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

















